নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় (বুস্টার) ডোজে জোর দিয়েছে সরকার। শুরুতে ষাটোর্ধ জনগোষ্ঠী এবং দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজে ছয় মাস সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও পরে দুই দফায় বয়স ও সময় কমানো হয়েছে। এখন ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর যাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা এসএমএস না পেলেও কেন্দ্রে এসে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন। অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
এতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৮১ লাখ ৮৬ হাজার ১৩১ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৬ জন মানুষ। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৩ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬৫ জনকে।
এদিকে শনিবার (৯ এপ্রিল) সারা দেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থীকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৪১৯ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ২ লাখ ১২ হাজার ২৫৬ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।