টানা বৃষ্টিতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সয়াবিন তেল, ডিম, মুরগিসহ দাম বেড়েছে কাঁচা সবজিরও। কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের।
সরবরাহ তুলনামূলক কম, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বাধ্য হয়েই তাদের বাড়তি দামে অধিকাংশ পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজধানীর রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর সয়াবিন তেলের দাম গত কয়েক মাস ধরে বেড়েই চলেছে। নতুন করে দাম বেড়েছে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের। বর্তমানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৫২ থেকে ১৬০ টাকা। প্রতি বছরই এ সময়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া অনেকে ফার্ম ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। আবার মুরগির খাবারের দামও বাড়তি। সব কিছু মিলে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে, বলছেন বিক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের সরবরাহ থাকলেও বাজার মনিটরিংয়ের অভাবেই বাড়ছে বিভিন্ন সবজির দাম। কয়েক দিন আগেও এ সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দুই দিনের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে ৭ শতাংশ। আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি আগের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। গত সপ্তাহে যে আদার দাম ছিল ১২০ টাকা কেজি, সেই আদা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। দাম বেড়েছে আলুরও। গত কয়েক মাস ধরে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর দাম ২৫ টাকা হয়েছে। আলুর দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পিঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো পিঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচকলা, পেঁপে, কচুর লতির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।