দেশে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয়েছে।এধরনের বেশিরভাগ জেলায় হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় এবং বেডের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় গুরুতর রোগীরা ছুটছেন বিভাগীয় শহরের বড় হাসপাতালে। কিন্তু বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
অনেক হাসপাতালে করোনার জন্য নির্ধারিত বেড খালি না থাকায় অতিরিক্ত রোগীকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
দেশের দক্ষিণে খুলনা নগরীতে করোনা রোগীর জন্য নির্ধারিত ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল করা হয়েছিল।
সেখানে চিকিৎসার কাজে রয়েছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা থেকে শুরু করে বাগেরহাট পর্যন্ত এবং অন্য দিকে কুষ্টিয়া, যশোর, নড়াইল, পিরোজপুর থেকে কারোনার রোগীরা যাচ্ছেন খুলনার সেই হাসপাতালে। ফলে ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে গুরুতর নয় এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
ওই হাসপাতালের মুখপাত্র এবং খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুহাশ রঞ্জন হালদার বলেছেন, গুরুতর রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশি, সেজন্য বেড না থাকায় অনেককে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ১০০ শয্যার। কিন্তু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা ৩০টি শয্যা বাড়িয়ে সেবা দিচ্ছিলাম। কিন্তু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখন আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না নতুন কোনো বেড যুক্ত করার।
তিনি বলেছেন, খুলনায় আমাদের হাসপাতালে স্থান সংকুলান হচ্ছে না, যার কারণে এখন আমরা ফ্লোরে রেখে রোগীর সেবা দিচ্ছি। আমাদের খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (১৩০টি শয্যার বিপরীতে) ১৪৩ জন রোগী ছিল। এ কারণে আমাদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
সেই অঞ্চলের বিভাগীয় শহর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালেও প্রতিদিনই রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।গত এক দিনেই ওই হাসপাতালে করোনা রোগীদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মহানগরীতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেই চাপ তো রয়েছেই।
আশপাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর ছাড়াও পাবনা থেকেও করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন রাজশাহীর ওই হাসপাতালে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেছেন, তারা এখনো রোগীর চাপ সামলাতে পারছেন। আমাদের হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনসহ বেড আছে ২৭১টা। এর বাইরে অক্সেজেন কনসেনট্রেটর দিয়ে ১৮৩টা বেড লাগাতে পারবো। আর আমাদের আইসিইউ বেড আছে ১৮টা। সেগুলোতে রোগী আছে।