ভোক্তাতন্ঠ ডেস্ক:
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা বিধিনিষেধের কারণে গত বছর বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার ব্যবহার বেড়েছে অনেক। সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের সেবার আওতা সম্প্রসারণ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘আর্থিক অভিগম্যতা জরিপ’ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
আইএমএফের তথ্য বলছে, করোনায় বাংলাদেশে আগের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ মোবাইলে আর্থিক সেবা নিয়েছেন। এর ফলে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
জরিপের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে প্রতি এক হাজার প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে মোবাইল আর্থিক লেনদেনের হিসাবসংখ্যা ছিল ৬৭২টি। ২০২০ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ৮২৫টি। ২০১৯ সালে দেশে মোবাইল আর্থিক সেবায় লেনদেনের পরিমাণ ছিল জিডিপির ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ। গত বছর এটি বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। করোনাকালে মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারীর সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। গত বছর দেশে প্রতি এক হাজার বর্গকিলোমিটারে নিবন্ধিত মোবাইল মানি এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা ছিল আট হাজার ১৪১টি। এটি আগের বছরের তুলনায় ৬৭৮টি বেশি।
এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে অটোমেটেড ট্রেলার মেশিন বা এটিএমের সংখ্যাও। ২০১৯ সালে প্রতি এক লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য গড়ে এটিএম ছিল ৯ দশমিক ৪০টি। এ সংখ্যা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ১৮টি।