ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে চার মাসের উৎপাদন জটিলতা সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন ফেজ-এর কয়লা উত্তোলনের জন্য যন্ত্রাংশ আমদানির এলসি খুলতে দুই মাস দেরি হয়েছে। এ কারণেই শঙ্কার কথা জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়েছে কয়লাখনির তরফ থেকে। শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পথ অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। তবে শেষ পর্যন্ত তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়েও আছে শঙ্কা।
বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, কোনও কারণে দীর্ঘ সময় কয়লা তোলা না গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথেষ্ট কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এতে উত্তরের এই জনপদে লোডশেডিং ছাড়াও লো-ভোল্টেজের শঙ্কট দেখা দেবে। বাড়বে মানুষের ভোগান্তি। কেননা, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়েই সেখানকার কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চলে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৭ মার্চ বিভাগের এক জরুরি বৈঠকে এলএনজি খুলতে দুই মাস দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন ছিলেন। এলসি খুলতে দেরির বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয় বলে সচিব বৈঠকে জানান। সেইসঙ্গে যাতে খনিতে প্রডাকশন গ্যাপ তৈরি না হয় সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
খনির এক কর্মকর্তা জানান, একটি শিফট থেকে আরেকটি শিফটে স্থানান্তর করতে দেড় মাসের মতো লেগে যায়। এবার এলসি খুলতে জটিলতার কারণে সময় আরও বেশি লাগবে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার ব্যবহার কমানো হবে, কেন্দ্রের উৎপাদনও কম হবে।
বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, এলসি পেতে সময় লাগে। এর জন্য মজুত করা আছে। কত গ্যাপ হবে, কত মজুত আছে তার হিসাব করে রেখেছি। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না। কয়লার ক্ষেত্রে সব সময়ই তিন মাস গ্যাপ থাকে— যখন এক ফেজ থেকে আরেক ফেজে যায়। আমরা তিন-চার মাসের মজুত রাখি। একটা খনি থাকলে সাধারণত এমন করা হয়। দুটি থাকলে কোনও সমস্যা হয় না।
তিনি আরও বলেন, আগে বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। এখন ৩০০ মেগাওয়াট করে উৎপাদন হচ্ছে। এজন্য কয়লা বেশি দরকার হচ্ছে।