ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশ-ভারত গভর্নমেন্টাল এলওসির (লাইন অব ক্রেডিট) অধীন প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্প মনিটরিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সহ-সভাপতিত্ব করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
সোমবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় হাইকমিশন ও এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি প্রক্রিয়াগত সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করে এবং ভবিষ্যৎ পরামর্শ দিয়ে প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য গৃহীত কয়েকটি যৌথ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম।
উভয় পক্ষ ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্প মনিটরিং কমিটির প্রথম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যালোচনা করেছে।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। ভারতের লাইন অব ক্রেডিট কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশ তাদের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং এলওসির অধীনে মোট প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ ৭.৮৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উভয় পক্ষই অত্যন্ত সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছে, ভারতীয় এলওসি কাঠামোর অধীনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত চুক্তিকৃত প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বিতরণের মাইলফলক কয়েক দিনের মধ্যে অর্জিত হতে চলেছে। আরও উল্লেখ করা হয় উভয় পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এক বছরে অর্থ বিতরণের গতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই সময়ে কোভিড-১৯ মহামারির ফলে উদ্ভূত গুরুতর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২৩৮.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে।
উভয় পক্ষই বৈঠকের সময় বাস্তবায়নের বিষয়গুলির সবদিক নিয়ে আলোচনা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দ্বারা ভারতীয় এলওসি প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির ব্যাখ্যার মান নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা, প্রকল্প প্রস্তুতি এবং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ত্বরান্বিত করা, বিড যোগ্যতার মানদণ্ড যুক্তিযুক্ত করা, বিল প্রক্রিয়াকরণ চক্র সংক্ষিপ্ত ও সরলীকরণ, চূড়ান্ত চুক্তি প্রদান ত্বরান্বিত করা, ভিসা প্রদানের পদ্ধতি সহজীকরণ ইত্যাদি। কারিগরি কমিটি কর্তৃক গৃহীতব্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলিও উচ্চ পর্যায়ের কমিটি চিহ্নিত করেছে, যা যথাসময়ে কার্যকর স্তরে উদ্ভূত বিষয়গুলো আলোচনার জন্য বৈঠক করবে।