শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান যে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়েছে। ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত।
ড. আলমগীর হোসেন বলেন, রাজধারীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। করোনার এ ধরন অতি সংক্রামক বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। বর্তমানে ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া, অতিমাত্রায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন পাওয়া গেছে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে আরম্ভ হয়। দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন পিক বা চূড়ায় উপনীত হয়নি। এ কারণে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কবে নাগাদ নিম্নমুখী হতে পারে, সে সম্পর্কে দেশটির বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৮ জন। ভারতে করোনায় মোট মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩।
ভারতের করোনা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা জরুরি চিকিৎসাসহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বিদেশি সহায়তা ভারতে পৌঁছানোও শুরু হয়েছে।