ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বাকি ডোজগুলো বাংলাদেশ কবে পাবে তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
আজ বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘এই টিকা পাওযার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি- দ্রুত এ টিকা আমরা পেয়ে যাব। কোভিশিল্ডের টিকা আসলে, যারা প্রথম ডোজ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন তাদেরকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেয়া হবে।’
জানা গেছে, গতকাল ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ২৫৮ জন। কোভিশিল্ড প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ১৮১ জন। এখনো প্রথম ডোজের টিকা নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন ১৫ লাখের বেশি মানুষ।
প্রসঙ্গত গত ২০ জুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনকালে বলেন, ‘আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াচ্ছি। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া নিয়ে নির্দিষ্ট সময় আমরা এখনও বলতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।’