করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ বিধায় সুরক্ষার স্বার্থে এবার ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার জানিয়েছেন, সোমবার থেকে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য দু’দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তারপর পরিস্থিতি বিচার করে ফের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে বাংলাদেশ সূত্রে খবর। তবে পণ্যবাহী ট্রেন আগের মতোই চলবে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। কলকাতা থেকে মৈত্রী ও ঢাকা থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস বাদেও নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। মার্চ মাসে ভারচুয়াল উদ্বোধন করেছেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী – নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা। যাত্রী পরিবহণও চলছিল ভালভাবেই। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই সংক্রমণ রুখতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করা হচ্ছে বলে খবর। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ১৪ দিন ট্রেনে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ থাকলেও, পণ্যবাহী যানবাহন চলবে দু’দেশের মধ্যে।
মার্চের গোড়া থেকে বাংলাদেশে দাপট দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) নতুন প্রজাতি। তার ধাক্কায় বেসামাল দেশ। গতবছর করোনার জেরে লকডাউনের পর আনলক পর্বে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া হলেও, পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে ফের তা বন্ধের তোড়জোড় চলছে। এর আগে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে ভারতে না যান, দেশবাসীকে সেই পরামর্শ দিয়েছিল কোভিড পরামর্শদাতা কমিটি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপ হিসেবে দু’দেশের মধ্যে ট্রেন ও অন্যান্য যাত্রী পরিবহণ স্তব্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল হাসিনা প্রশাসন। তবে আগামী ১৪ দিন পণ্যবাহী গাড়ি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।