রংপুর, ২৬ মে রবিবারঃ এবার ভেজাল বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে একাট্টা হলেন রংপুর জেলার রেস্তোরাঁ ও বেকারি ব্যবসায়ীরা। গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন অভিযোগে, নগরীর জুম্মাপাড়ার মিঠু হোটেলকে ২ লাখ, জলকর এলাকার ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড কনফেকশনারিকে ৩ লাখ, এভরিডে ফুড প্রোডাক্টসকে ১ লাখ ও সোনালি বেকারিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই জরিমানাকে ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ খোকন গত শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘রংপুর নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে অস্বাভাবিক হারে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। দোকানে সারাদিনের বিক্রি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে দুই-তিন লাখ টাকা। যা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছি।’
বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম মুন্না বলেন, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বেকারিতে ভেজাল দেওয়ার মত কিছু নেই।শুধুমাত্র কাঁচামাল কিনে খাদ্য তৈরি ও বিক্রি করা হয়।
আজ ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় আজ রংপুর নগরবাসী ইফতার সামগ্রী ক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সাধারণ ভোক্তারা এসময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমাদের যাবার কোন জায়গা নেই, ভেজাল বিরোধী অভিযানকে আমরা সাধুবাদ জানাই। মানুষ মেরে অর্থ উপার্জন কোনভাবেই সমর্থন করা যায়না। আমাদের জিম্মি করে এরা ভেজাল পণ্য খাওয়াতে চায়’।
এদিকে আজ দুপুরেই রেস্তোরাঁ ও বেকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব। তিনি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা সহনীয় যেন থাকে, সেটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কাল সোমবার থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে।