ভোলায় নতুন করে প্রাকৃতিক গ্যাসের তিনটি কূপের (গ্যাস ক্ষেত্র) সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। শনিবার (৯ অক্টোবর) বাপেক্সের উপ-ব্যবস্থাপক সৌমিত্র পাল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপে ভোলায় ইলিশা-১, ভোলা নর্থ-২ এবং টবগি-১ নামে তিনটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। তবে সেখানে কী পরিমাণ গ্যাস রয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না। রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাস ফ্রোম নতুন এই তিনটি কূপ খননের কাজ করবে। জেলায় ইতোমধ্যে ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরও তিনটি কূপ খনন হবে। এই তিনটি কূপের খনন শুরু হলে জেলায় সর্বমোট কূপের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯টি।
বাপেক্স জানিয়েছে, জেলার বোরহান উদ্দিনের শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের চারটি কূপ ছাড়াও শাহবাজপুর ইস্ট এবং ভোলা নর্থ নামে আরও দুটি গ্যাস ক্ষেত্রের দুটি কূপে মোট গ্যাসের মজুদের পরিমাণ প্রায় ১.৩ টিসিএস (ট্রিলিয়ন কিউবিট ফিট)। এর মধ্যে নতুন আবিষ্কৃত শাহবাজপুর ইস্ট কূপে মজুদ রয়েছে ৭শ বিসিএফ এবং ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রে রয়েছে প্রায় ১ টিসিএফ ঘন ফুট গ্যাস। বাকি গ্যাস রয়েছে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে।
বাপেক্স আরও জানায়, বর্তমানে ভোলায় যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তার মধ্যে প্রতিদিন উত্তোলন হচ্ছে ৬৫ বিলিয়ন ঘন ফুট। যা চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, একটি কারখানা ও বেশ কিছু গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। জেলায় বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের যে মজুদ রয়েছে। তা ভবিষ্যতে মোট মজুদের প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, শাহবাজপুর ইস্ট নামের একটি কূপ এবং নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রে গ্যাসের মজুদ থাকলেও সেখান থেকে আপাতত কোনো গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে না। তবে এসব কূপ গ্যাস উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নতুন কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র না থাকায় গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে না। এ জেলায় আরও বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। সেখানে চারটি গ্যাসের কূপ খনন হয়েছে। বর্তমানে ১, ২ ও ৩ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তেলন করা হচ্ছে। শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে প্রায় ১.৩ টিসিএফ ঘন ফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।