ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
এক এক জায়গায় এলপিজি ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হওয়ায় সরকারি নির্ধারণ করা দামের তালিকা দোকানে প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) চলতি মাসের দাম ঘোষণার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আদেশ দেয়। কমিশন জানুয়ারির জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেছে। সে আদেশের সঙ্গেই এলপিজি, অটোগ্যাস এবং বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজির তালিকা কীভাবে নির্ধারণ করা হবে তাও জানানো হয়।
গত দুদিন ধরে বেশকিছু দোকানে এই তালিকা দেখা গেছে। এরমধ্যে এগিয়ে আছে বসুন্ধরা ও ওরিয়নের এলপিজি বিক্রি করা দোকানগুলো।
বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহী বলেন, ‘আমরা বসুন্ধরাসহ বেশ কিছু কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে তাদের কোম্পানির এলপিজি বিক্রি করা দোকানগুলোতে কমিশনের নির্ধারণ করা দামের তালিকা প্রদর্শন করা হয়। ইতোমধ্যে অনেকেই কাজ শুরু করেছেন। আশা করছি, সবাই এই তালিকা প্রদর্শন করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অফ সেলস জাকারিয়া জালাল বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় এই তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছি। যারা আমাদের এলপি গ্যাস বিক্রি করছে তারা এই তালিকা টানানো শুরু করেছে। ঢাকাসহ ভোলা, পাবনা, বরিশাল, বগুড়া, নরসিংদীসহ বেশকিছু শহরের দোকানগুলো তালিকা প্রদর্শন শুরু হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে সবাই প্রদর্শন করবে বলে আশা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওরিয়ন গ্যাস লিমিটেডের হেড অব অপারেশন অনুপ কুমার সেন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা কমিশন আদেশ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি। খুচরা বিক্রেতাদের দামের তালিকা টানানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। ঢাকাসহ রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বরিশাল, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় তালিকা প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)-এর দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির নির্ধারিত দামের ঘোষণা দিচ্ছে কমিশন। কিন্তু প্রথম দিকে দেশের বাজারের কোথাও এই দামে এলপিজি বিক্রি হতো না। ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি অনুযায়ী, পরিচালন ব্যয়সহ অন্য ব্যয় নির্ধারণ না করার অনুরোধ ছিল।