পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে আবারও পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পেট্রল-ডিজেল আমরা প্রোডাক্ট করি না। মূল উৎপাদনকারী মহাজনরা যখন দাম বাড়ায় তখন বাধ্য হয়ে আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হয়। সেই দাম কাউকে না কাউকে বহন করতে হয়। তাই শেষ বিচারে যারা ভোগ করে সেই ভোক্তাদেরকেই দাম বহন করতে হয় সারা পৃথিবীতে। উৎপাদনকারী মহাজনরা যতটুকু দাম বাড়িয়েছে আমরা আনুপাতিক হারে কম বাড়িয়েছি।
আজ শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এম এ মান্নান আরো বলেন, দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের টাকা ভর্তুকির মাধ্যমে উৎপানকারী মহাজনদের ট্রান্সফার করে দিতে হয়। এই খাদ অনেক গভীর। সরকারকে সেই গভীর খাদ ভর্তি করতে হয়। তবে হরতাল অবরোধ দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ঠাণ্ডা মাথায় বসে কৌশল করে ভোক্তাদের ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এই চেষ্টাই করছে সরকার।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ প্রমুখ।
‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে জেলার ৬টি সমবায় সংগঠনকে পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে শহরে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।