আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সম্ভাব্য সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণার ফলে গণপরিবহনসহ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকার আশংকা থেকে লকডাউনে বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা চাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।তারা মনে করেন, প্রতিযোগী অন্যান্য দেশ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিল্পকারখানা চালু রেখেছে। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে রপ্তানি আদেশের পণ্য তৈরি করা এবং তা জাহাজীকরণ করা সম্ভব হবে না। তখন এসব ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে যাবে। এর ফলে ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকদের বেতনভাতাও পরিশোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে দেওয়া তথ্যে জানান যে এ ব্যাপারে রোববারের (১১ এপ্রিল) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। সেটি হলো
“বিশ্বের অনেক উন্নত-উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোতে লকডাউন চলছে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অনেক প্রদেশও লকডাউনের আওতায় এসেছে। কিন্তু সেখানে উৎপাদনমুখী শিল্প চলছে, উৎপাদন অব্যাহত আছে এবং সঙ্কটকালে স্ব স্ব দেশের অর্থনীতিতে তারা ভূমিকা রাখছে। “
অন্যদিকে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন সমকালকে বলেন, গত বছর পহেলা বৈশাখ, ঈদ এবং পূজার বাজার হারিয়েছেন স্থানীয় বস্ত্র শিল্পের উদ্যোক্তারা। এখন কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার শিল্প উদ্যোক্তা বড় বিপদে পড়ে যাবেন। কারখানা বন্ধের কারণে শ্রমিকরা বাড়ি গেলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে মজুরি অনিয়মিত হলে শ্রম অসন্তোষ বাড়তে পারে।
এদিকে, লকডাউনের সময় কিছু প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে আর কিছু বন্ধ থাকবে এমনটা মানতে নারাজ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে কোভিড-১৯ আরও মানুষের মাঝে বিস্তার লাভ করবে।