বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভােক্তা ও ব্যবসায়ীবান্ধব স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকল সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তাদের সচেতনতা অপরিহার্য। জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের স্বার্থ সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।
ভােক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে বিশেষ সেবা সপ্তাহে জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তা ভাই-বােনদের প্রতি কিছু আহবান জানিয়েছেন।তাই আজ প্রথম দিনে প্রথম করনীয় সম্পর্কে লিখা হলো।প্রথমে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে যে পয়েন্টটি রয়েছে তা দিয়ে শুরু করা হলো।
★★★নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য/সেবা বিক্রয় থেকে বিরত থাকুন★★★
বর্তমানে পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই নিরাপদ খাদ্যকে ভোক্তার অধিকার হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর ব্যত্যয় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশে ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় এবং ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণীত হয়।
বিগত দু’দশকের কিছুকাল আগে থেকে আমাদের দেশের একশ্রেণীর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিক মুনাফা লাভের প্রবণতা এমনভাবে বিরাজমান যে, যেকোনো ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি ছাড়াও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এমন খাদ্যের উৎপাদন, প্রস্তুত ও বিপণন থেকে তারা বিরত নন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কাপড়ের রঙে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা তারা খাদ্যে বা পানীয়ের মধ্যে ব্যবহারে এতটুকুও বিচলিত নয়। সেই উদ্দেশ্যে এই ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণের বিশেষ সেবা সপ্তাহে নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য/সেবা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে।
এখন আসি ভােক্তা ভাই-বােনদের আহবান জানিয়ে যে পয়েন্টটি রয়েছে তা নিয়ে।
★★★ভোজ্য তেল খোলা অবস্থায় ক্রয়ের ক্ষেত্রে এর পুষ্টিমান নিশ্চিত হয়ে ক্রয় করুন★★★
নিরাপদ খাদ্য আইনে নিরাপদ খাদ্য বলতে প্রত্যাশিত ব্যবহার ও উপযোগিতা অনুযায়ী মানুষের জন্য বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার্যকে বুঝানো হয়েছে। একই আইনে বলা হয়েছে, খাদ্য অর্থ চর্ব্য, চুষ্য, লেহ্য বা পেয়সহ সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত, আংশিক প্রক্রিয়াজাত বা অপ্রক্রিয়াজাত আহার্য উৎপাদন এবং খাদ্য, প্রক্রিয়াকরণ বা প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত উপকরণ বা কাঁচামালও, যা মানবদেহের জন্য উপকারী আহার্য হিসেবে জীবনধারণ, পুষ্টিসাধন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ব্যবহার হয়ে থাকে।সেই জন্যে ভােক্তা ভাই-বােনদের পুষ্টিমান নিশ্চিত হয়ে ক্রয় করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল দ্বিতীয় পয়েন্ট গুলি নিয়ে আলোচনা করবো।