বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভােক্তা ও ব্যবসায়ীবান্ধব স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকল সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তাদের সচেতনতা অপরিহার্য। জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের স্বার্থ সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।
ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে বিশেষ সেবা সপ্তাহে জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তা ভাই-বােনদের প্রতি কিছু আহবান জানিয়েছেন।তাই আজ তৃতীয় দিনে তৃতীয় করনীয় সম্পর্কে লিখা হলো। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তৃতীয় যে পয়েন্টটি রয়েছে তা দিয়ে শুরু করা হলো।
★★★অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিক পণ্য সরবরাহ করুন★★★
ই-কমার্স খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর ই-কমার্সের বাজার বড় হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের এই প্রকোপের সময় অনলাইন ভিত্তিক পণ্যের বাজার রাতারাতি অনেক বেড়ে গেছে।কিন্তু এখনো প্রধান শহরগুলোর বাইরে ই-কমার্সের সেবা পুরোপুরি পৌঁছায়নি। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষজন এখনো ই-কমার্স সেবার বাইরে রয়েছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনেকেই অন্য স্থান থেকে পণ্য সরবরাহ করে সেটি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেন। এক্ষেত্রে তাদেরও এমন একটি চেইন তৈরি করতে হবে যাতে, তারাও পণ্যটি সঠিক সময়ে হাতে পান।এজন্য বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ ও চুক্তি করার পরামর্শ দিচ্ছেন ই-কমার্স উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশে এখন অন্তত ২০টি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স খাতের সঙ্গে কাজ করছে।পাশাপাশি নিজেদের ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ করা যেতে পারে, যার দ্রুত কাছাকাছি থাকা গ্রাহকদের পণ্য পৌঁছে দেবেন।
গ্রাহকের কাছে শুধু পণ্যটি বিক্রি করাই শেষ কথা নয়, সেটা প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করতে হবে। কারণ পণ্য পৌঁছাতে বিলম্ব হলে গ্রাহক এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে।এখন আসি ভােক্তা ভাই-বােনদের আহবান জানিয়ে যে তৃতীয় পয়েন্টটি রয়েছে তা নিয়ে।
★★★খোলা লবণ ক্রয়ের পূর্বে আয়োডিনের সঠিক মাত্রাসহ অন্যান্য গুনাগুন নিশ্চিত হয়ে ক্রয় করুন★★★
আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২০’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন আইনে বলা হয়েছে, নিবন্ধন ছাড়া কেউ লবণ আমদানি ও লবণের ব্যবসা করতে পারবেন না। করলে জেল-জরিমানা হতে পারে। সেইজন্যই আমাদের সকলের এই বিষয়টি মাথায় রেখে খোলা লবণ ক্রয়ের পূর্বে আয়োডিনের সঠিক মাত্রাসহ অন্যান্য গুনাগুন নিশ্চিত হয়ে ক্রয় করা জরুরী।
আগামীকাল চতুর্থ পয়েন্ট গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভােক্তা বান্ধবের পাশাপাশি ব্যবসায়ী বান্ধব বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সহযােগিতা করুন। প্রয়ােজনে ভােক্তা বাতায়ন’ শীর্ষক হটলাইন নম্বরে-১৬১২১ যােগাযােগ করুন।