বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভােক্তা ও ব্যবসায়ীবান্ধব স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকল সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তাদের সচেতনতা অপরিহার্য। জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের স্বার্থ সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।
ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে বিশেষ সেবা সপ্তাহে জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তা ভাই-বােনদের প্রতি কিছু আহবান জানিয়েছেন।তাই আজ পঞ্চম দিনে পঞ্চম করনীয় সম্পর্কে লিখা হলো। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে পঞ্চম যে পয়েন্টটি রয়েছে তা দিয়ে শুরু করা হলো।
★★★জ্ঞাতসারে ভেজাল/নকল/মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় থেকে বিরত থাকুন★★★
বিগত দু’দশকের কিছুকাল আগে থেকে আমাদের দেশের একশ্রেণীর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিক মুনাফা লাভের প্রবণতা এমনভাবে বিরাজমান যে, যেকোনো ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি ছাড়াও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এমন খাদ্যের উৎপাদন, প্রস্তুত ও বিপণন থেকে তারা বিরত নন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কাপড়ের রঙে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা তারা খাদ্যে বা পানীয়ের মধ্যে ব্যবহারে এতটুকুও বিচলিত নয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর চতুর্থ অধ্যায়ে (ক্রম ৪১) উল্লেখ আছে-‘কোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ওষুধ বিক্রয় করিলে বা করিতে প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’। আর এই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের উচিত জ্ঞাতসারে ভেজাল/নকল/মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় থেকে বিরত থাকা।এখন আসি ভােক্তা ভাই-বােনদের আহবান জানিয়ে যে পঞ্চম পয়েন্টটি রয়েছে তা নিয়ে।
★★★প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকুন★★★
এই ভয়াবহ করোনার মাঝেও দেশে পর্যাপ্ত পণ্যের মজুত রয়েছে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই এই সময়ে আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কেনা হতে বিরত থাকা উচিত।
আগামীকাল ষষ্ঠ পয়েন্ট গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভােক্তা বান্ধবের পাশাপাশি ব্যবসায়ী বান্ধব বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সহযােগিতা করুন। প্রয়ােজনে ভােক্তা বাতায়ন’ শীর্ষক হটলাইন নম্বরে-১৬১২১ যােগাযােগ করুন।