বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভােক্তা ও ব্যবসায়ীবান্ধব স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকল সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তাদের সচেতনতা অপরিহার্য। জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভােক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের স্বার্থ সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।
ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে বিশেষ সেবা সপ্তাহে জাতীয় ভােক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্মানিত ব্যবসায়ী ও ভােক্তা ভাই-বােনদের প্রতি কিছু আহবান জানিয়েছেন।তাই আজ সপ্তম দিনে শেষ করনীয় সম্পর্কে লিখা হলো। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে সপ্তম যে পয়েন্টটি রয়েছে তা নিয়ে লিখা হলো।
★★★ভােজ্যতেল এবং লবণ খােলা অবস্থায় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে সচেষ্ট থাকুন★★★
নিরাপদ খাদ্য আইনে নিরাপদ খাদ্য বলতে প্রত্যাশিত ব্যবহার ও উপযোগিতা অনুযায়ী মানুষের জন্য বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার্যকে বুঝানো হয়েছে। একই আইনে বলা হয়েছে, খাদ্য অর্থ চর্ব্য, চুষ্য, লেহ্য বা পেয়সহ সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত, আংশিক প্রক্রিয়াজাত বা অপ্রক্রিয়াজাত আহার্য উৎপাদন এবং খাদ্য, প্রক্রিয়াকরণ বা প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত উপকরণ বা কাঁচামালও, যা মানবদেহের জন্য উপকারী আহার্য হিসেবে জীবনধারণ, পুষ্টিসাধন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
জনসাধারণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ও ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল বিক্রয়, সংরক্ষণ, সরবরাহ, বিপণন বা বাজারজাতকরণ বাধ্যতামূলককরণ করে কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল।যার ফলে ভোজ্যতেল কেনার ক্ষেত্রে পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকাটা জরুরী।কোনো ব্যক্তি এই আইনের ধারা লঙ্ঘন করিলে উহা অপরাধ হইবে এবং অপরাধের জন্য বিএসটিআই উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ১০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করিতে পারিবে।
আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তৈরী প্যাকেট ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে কোন ভোজ্য লবণ বিক্রয় করিতে, গুদামজাত করিতে, বিতরণ করিতে বা প্রদর্শন করিতে পারিবেন না৷সেই ক্ষেত্রেই কেউ যদি ভােজ্যতেল এবং লবণ খােলা অবস্থায় বিক্রয় করিতে চায় তাহলে অবশ্যই পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে সচেতন থাকতে হবে।
ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে বিশেষ সেবা সপ্তাহে ভােক্তা ভাই-বােনদের আহবান জানিয়ে যে পয়েন্টগুলি ছিলো তা নিয়ে আমরা আলোচনা করে ফেলেছি আগের ৬টি দিন গুলোতে। আশা করি সকলেই এই বিশেষ সেবা সপ্তাহের আহবান গুলোকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাবো এবং ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিত করবো।