ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজী ফারুক ছিলেন আমার সহযোদ্ধা: সাবেক মহাপরিচালক ভোক্তা অধিকার

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক ইন্তেকাল করেন ৬৬ বছর বয়সে। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্যাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর সভাপতি হয়ে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর এত বছর পরও তাঁর সহযোদ্ধারা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

সাবেক এই ক্যাব সভাপতিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জনাব মোঃ আবুল হোসেন মিঞা। সাবেক মহাপরিচালকের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো।


দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লগ্নে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন” ক্যাব” এর তৎকালীন সভাপতি কাজী ফারুক। বিশেষ কন্ঠের অধিকারী কাজী ফারুক ছিলেন আমার দেখা নির্মোহ, নিঃস্বার্থ ও ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ নিবেদিত প্রাণ।
ক্যাব এর সভাপতি পদাধিকার বলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য।
ক্যাব তখন নানা সমস্যা বিশেষ করে আর্থিক সংকটে নিপতিত। বলতে গেলে তেমন কোন কার্যক্রম তাদের নেই।
আমি জেলাপ্রশাসকের নেতৃত্বে আইন বলে গঠিত ১১ সদস্য ” জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটিতে ক্যাব এর জেলা কমিটির সভাপতি/ সম্পাদককে সদস্য করে নেই। ক্যাব নতুন প্রাণ ফিরে পায়। আমার কনজুমারস কমরেড অঘোষিত প্রিয় বন্ধু কাজী ফারুক মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার সাথে তার মিরপুরস্হ সাংবাদিক কলোনীর বাসায় ছুটে যাই।


আমি মানসিকভাবে এতটাই শোকাহত হয়ে পড়ি যে নিরব কান্নার ফাঁকে বলে ফেলি মেঝে শোয়ানো ফারুকভাই এর মাথার নীচে একটি বালিশ দেওয়া হয়নি কেন?
তাঁর কি তখন বালিশের দরকার আছে?
আমি তাঁর স্মরণ সভায় এ কথা বলতে গিয়ে শতজনের মাঝে কান্না থামাতে পারছিলাম না।এ লেখাটি লেখতে গিয়েও আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আমি কাজী ফারুকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসীব করুন।