ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হবার দশক পেরিয়ে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে ভোক্তা অভিযোগের পরিমানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র রাজধানী নয় বরং সাড়া দেশ জুড়েই ভোক্তাদেড় সচেতনতা বৃদ্ধি এখন দৃশ্যমান। এরই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, জেলা কার্যালয়গুলো থেকে নিয়মিত তদারকি অভিযান পরিচালনা, জরিমানা আরোপ ও আদায় সহ আইনি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন এবং ভোক্তা অভিযোগের শুনানি ও সমাধানের মাধ্যমে।
গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ভোক্তা অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে দুটি অভিযোগ। একইসাথে উপযুক্ত প্রমাণের ওভাবে খারিজ হয়েছে অপর তিন অভিযোগ। ভোক্তাকণ্ঠ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, কুমিল্লা নিবাসী সাইদুল ইসলাম গত ২৯ আগস্ট রানীর বাজার এলাকার ‘ইকোনমিক ড্রাগ হাউজ’ থেকে একটি ইঞ্জেকশন ক্রয় করেছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখতে পান সেই ইঞ্জেকশনের মেয়াদ ২০১৮ সালের অক্টোবরেই শেষ হয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোক্তা অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে, অভিযুক্ত ‘ইকোনোমিক ড্রাগ হাউজ’কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারা ৫১ অনুসারে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ অ আদায় করা হয়। এবং অভিযোগকারী ভোক্তা সাইদুল ইসলাম উল্লেখিত আইনের ৭৬(৪) ধারার বিধান অনুসারে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১২,৫০০ টাকা পান। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর গতকালই অভিযোগকারীর হাতে এ অর্থ তুলে দেন।