ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় করা ও আদার মূল্যে কারসাজির দায়ে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারের ১৮ টি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বুধবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা স্বয়ং ঢাকা মহানগরীতে বাজার তদারকি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যযাচাই সহ ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
ঢাকা মহানগরের শ্যাম বাজার, বাবুবাজার, কাপ্তানবাজার, শাহ আলী বাজার, কল্যাণপুর নতুন বাজার, কৃষি মার্কেট বাজার, শিয়া মসজিদ বাজার, আদাবর বাজার, মিরপুর বড় বাগবাজার, পীরেরবাগ পাঁকা মসজিদ বাজার, শান্তিনগর বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, রামপুরা বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার, মধ্য বাড্ডা বাজার এবং গুদারাঘাট বাজারে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, এছাড়াও প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন ও সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার রজবী নাহার রজনী , তাহমিনা বেগম ,মোঃ মাগফুর রহমান ও মাহমুদ আক্তার অভিযানে সহায়তা করেন।
এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালক নেতৃত্বে ৬৫টি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা মহানগরীর ১৯টি স্থানে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রয় (ট্রাকসেল) তদারকি করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, ‘আসন্ন রোজা ও করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদা, পেঁয়াজ, রসুন, চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ম মেনে যৌক্তিক, স্বাভাবিক ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাকে অনুরোধ করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আদার আমদানি মূল্য সর্বোচ্চ ১০০ টাকার বেশি নয়, এর সাথে পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় এবং যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে আদা বিক্রয় করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্য কারসাজিকারীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হবে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।’