ঝড়-বৃষ্টি পুরান ঢাকার নগরবাসীকে গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিলেও, বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন পেরিয়ে গেলেও আজ দুপুর পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগই চোখে পড়েনি। একদিকে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ, তার ওপর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তায় ফেলা ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করে রাস্তার এদিক-সেদিক ফেলে রেখা যান। এতে জনগণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ ময়লা-আবর্জনা যুক্ত পানি মাড়িয়ে পথ চলছে। যানবাহন ছাড়া যারা পথ চলছেন তাদের জুতা হাতে নিয়ে কিংবা জুতা পায়েই পানির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে ঈদ সামনে রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে শুরু হওয়ায় পুরান ঢাকার বংশাল, বাংলাদেশ মাঠ ও সাতরওজাসহ বেশকিছু এলাকায় দুপুরের পর থেকে এমনিতেই যানজট লেগেই থাকে। গত পরশুর বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দিনভর এ এলাকায় যানজট লেগেই থাকছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি মায়ের জন্য মিটফোর্ডে ওষুধ কিনতে যাওয়া-আসায় এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টা লেগেছে। রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে যানজট ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লার দুর্গন্ধে বমি চলে আসার উপক্রম। নগরপিতারা পুরান ঢাকার এসব রাস্তার জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনে কেন ব্যবস্থা নেন না তা মাথায় আসে না!বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লালবাগের বাসিন্দা আমির হোসেন।
আবুল হাসনাত রোড পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য নিয়ামত উল্ল্যাহ জানান, এ এলাকার ড্রেনেজের কাজ বেশ কয়েকবার করা হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার এ ব্যাপারে একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সমাধান হচ্ছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে।