সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ালেও ৬ মে থেকে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলাতেই গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে সরকার। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। অর্থাৎ ঢাকার বাস ঢাকায় আর গাজীপুরের বাস গাজীপুরে, এভাবেই চলাচল করতে হবে। অন্য জেলায় যেতে পারবে না।
লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকবে। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৩ মে) ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
মন্ত্রী জানান, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
এইদিকে দূরপাল্লার বাস ,লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারন জনগণ ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে। দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ প্রসঙ্গে কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ভেবেছি ৫ তারিখে লক ডাউন শেষে ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারবো কিন্তু এখন মনে হয় আর যাওয়া হচ্ছে নাহ। আর প্রাইভেট কার ভাড়া করলেও ব্যাপক ভাড়া গুনতে হবে। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাহ।
লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আজ থেকে মার্কেটে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালাবে।