অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রমযানের সময় ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের বাজারে হিসাবেও টান লাগে। আমদানি পর্যায়ে যাতে খরচ কমানোর জন্য অগ্রিম কর কমানো হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বলা হয়, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা লিটারে বিক্রি হবে। বোতলজাত সয়াবিনের লিটার বিক্রি হবে ১৩৫ টাকায়। এ ছাড়া পাম সুপার বিক্রি হবে ১০৪ টাকা লিটার দরে। পরে আবার গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৩৯ টাকা। চলতি বছরের শুরু থেকে অস্থির হয়ে পড়ে ভোজ্যতেলের বাজার। দফায় দফায় বাড়তে থাকে দাম। ফেব্রুয়ারি মাসে দাম বেড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসে। অপরিশোধিত তেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৪ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো ব্যবসায়ীদের। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে ওই দামের ওপর ভিত্তি করেই ভ্যাট ও কর আদায় করলে স্থানীয় বাজারেও দাম বেড়ে যেতো। আর এ পরিপ্রেক্ষিতেই এই অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হলো।
সুত্র: প্রথম আলো/ তানীন