করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ। দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন ও ওষুধের অভাব। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন উৎপাদনে রাশিয়া ও চিনকে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট যথাসময়ে বাংলাদেশে টিকা রপ্তানি করতে না পারায় রাশিয়া ও চিনের টিকা আনার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারত থেকে অক্সফোর্ড -অ্যাস্ট্রাজেনেকার থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে বাংলাদেশ চুক্তি করে। সেই টিকা আসতে শুরু করে। ভারত থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লক্ষ ডোজ টিকা এসেছে। সে হিসাবে এখন মজুদ আছে ২৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ। শুধু কেনা নয়, ভারত ও বাংলাদেশকে প্রায় ৩৩ লক্ষ ডোজ উপহারও দিয়েছে। করোনা বেড়ে যাওয়ায় নিজেদের চাহিদা সামাল দিতে সম্প্রতি ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন থেকে টিকা আনা নিয়ে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। টিকা পেতে বাংলাদেশ টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভিকেও চিঠি দিয়েছে। এ চিঠিতে আন্তর্জাতিকভাবে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ১০ কোটি ডোজ টিকা কিনতে অর্থায়নের আগ্রহের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
এপর্যন্ত বাংলাদেশে ৫৮ লক্ষ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২০ লক্ষকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। এখন যে পরিমাণ টিকা মজুত আছে, তা পক্ষকালের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে। এতে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।
অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির ভারচুয়াল বৈঠকে চিন ও রাশিয়ার টিকা তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে, কোন কোম্পানি সেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন আধিকারিকগণ।