ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারির রোধে ভ্যাকসিন বিতরণে চলমান অসমতায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে ২০২২ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে মহামারির অবসান হবে বলে আশা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ২০২১ সালের শেষ দিনে লিঙ্কডইনে নতুন বছরের আগমনী বার্তায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নতুন বছরের এক বিবৃতিতে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে সতর্ক করে দেন।
চীনে অজানা এক ধরনের নিউমেনিয়া শনাক্ত হওয়ার কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম অবগত হওয়ার দুইবছর পর এই মন্তব্য করলেন সংস্থাটির প্রধান।
বিশ্বে করোনা শনাক্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯১ জন। আর মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৬০ জন। বিশ্বজুড়ে মানুষ নতুন বছর উদযাপন করছে নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালেই।
করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের জেরে অনেক দেশই লোক সমাগম নিরুৎসাহিত করছে, সীমান্ত বন্ধ করেছে। মাস্ক পরে বাইরে যাওয়া এখনও অনেক দেশেই বাধ্যতামূলক।
এতকিছুর পরও তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলছেন ইতিবাচক কথাই। তিনি বলেন, এখন কোভিড-১৯ চিকিৎসার আরও অনেক বেশি সরঞ্জাম আমাদের কাছে আছে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ভ্যাকসিন বিতরণে চলমান অসমতায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডব্লিউইচও প্রধান বলেন, কিছু দেশের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং ভ্যাকসিন মজুদ করার প্রবণতার কারণে টিকা বিতরণে সমতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।