অনলাইন ডেস্ক: করোনার কারনে চলতি সাধারন ছুটি,বন্ধ গণপরিবহন থাকার কারনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রিটার্ন জমা অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট জমা দেওয়ার আইন থাকলেও গ্রাহকরা ভ্যাট জমায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে সারদেশে ভ্যাট নিবন্ধন কারী প্রতি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার।এদের মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় এক লাখ প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়ে দিলেও করোনা মহামারীর কারনে ভ্যাট রিটার্ন জমা অর্ধেকে নেমেছে।
রাজস্ব বোর্ড বলছে,চলতি মে মাসে মোট ৪২ হাজার ৫০০ টি ভ্যাট রিটার্ন থেকে ৩ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।গত এপ্রিল মাসে রিটার্ন জমা পড়েছিল ৩১ হাজারের বেশি ,যা থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা বলছে,সাধারন ছুটি চলায় কর্মীরা ছুটিতে আছেন।এমন পরিস্থিতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোভাবেই নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট রিটার্ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নতুন ভ্যাট আইন বলছে,সময়মতো ভ্যাট জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ভ্যাটের টাকার সুদ দেওয়ার বিধান আছে। তবে গত ৭ মে করোনার কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আইনে সংশোধনী আনার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।