স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই সাভারের মৎস্য আড়তে। নেই সরকারি মনিটরিং। বাজার কমিটিও উদাসীন। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। অন্যদিকে, সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে মাছের দরও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই সাভারে আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় মাছের এ পাইকারি আড়তে গিজগিজ করছে মানুষ। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বেচাকেনা।লকডাউনের অজুহাতে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাম। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেশি দরে।বিক্রেতারা বললেন, বড় আকারে রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। মলা-ঢেলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে।ক্রেতারা বলছেন, বাজারের অবস্থা খারাপ।
মানুষের হাতে টাকা নেই লকডাউনের কারণে। তবে ইলিশের দাম অন্যান্য মাছের তুলনায় কম।আড়তদাররা বলছেন, সমুদ্রের মাছ না আসায় মাছের সরবরাহ কম। ফলে কিছুটা বেশি দরেই মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।তারা বলছেন, করোনার কারণে আসা যাওয়া সমস্যা হচ্ছে। মাছ পরিবহনের জন্য যানবাহন না থাকায় দাম খানিকটা চড়া।
এদিকে বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের তেমন নজরদারি চোখে পড়ে না।।বাইপাইল পাইকারি মৎস্য আড়ত ম্যানেজার আল আমিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বাজারে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর প্রশাসনের লোকজন প্রয়োজন মনে করেনি বলেই হয়তো এখানে আসেনি।
রুই, কাতলা, ইলিশ, চিংড়ি, কই, শিং, টাকি, মলা, ঢেলা ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয় এখানে। এ ছাড়া বার্মা, শ্রীলঙ্কা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মাছ আসে এই আড়তে। প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয় এখানে।