আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষায় আজ রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকায় মেস, আবাসিক হোটেল ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তল্লাশি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও নাশকতা এড়াতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
২১শে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াভাবে সাজানো হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের ছয় স্তরের পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইউনিফর্মে পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, র্যাব, সোয়াড ও ডিবি থাকবে। সুতরাং কেউ কোনো নাশকতা করার সুযোগ পাবে না।’
আসন্ন ২১শে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেওয়া প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আমরা এখনো নিশ্চিত নই তারা আসবেন কি না। তারা না এলে তাদের প্রতিনিদি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এর পরে বাকিদের আমরা সুযোগ করে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি দূতাবাস থেকে আগত নাগরিকদের জিমনেসিয়াম মাঠে স্বাগত জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দেই আমরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের দূতাবাসে পৌঁছে দেওয়া হয়। এবছরও সেরকম করা হবে।’
শহীদ মিনারে কাউকে ব্যাগ না নিয়ে আসার আহ্বান জানান শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও কারও মোবাইল যেন না হারিয়ে যায় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শহীদ মিনারে রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট থাকবে এবং সিসিটিভির আওতায় থাকবে। জিমনেশিয়ামের মাঠে গাড়ি পার্কিং করা যাবে। এছাড়াও আশেপাশের লোকাল রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে’। তবে এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ডিএমপি কমিশনার।
এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নাশকতার তথ্য পাওয়া যায়নি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে আলাদাভাবে এ বিষয়ে বসেছি। তারা আমাদের তথ্য দিয়েছে এ রকম কোনো নাশকতার তথ্য তারা পায়নি।
বক্তব্যে সর্বশেষে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সরকারি বিধিনিষেধ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া বিধিনিষেধগুলো সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।