করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে এবং তা চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। সড়কে নেই পর্যাপ্ত গণপরিবহন, নেই দূরপাল্লার বাস। তবুও যেন থেমে নেই মানুষ। এসব ভোগান্তি নিয়ে নারীর টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
রিকশা, সিএনজি, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ নানা মাধ্যমে যে যেভাবে পারছে একটু একটু করে আগাচ্ছে বাড়ির দিকে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সংযোগ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েও এসব ঘরমুখো মানুষের স্রোত ঠেকাতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কিছু যায়গায় ৩ গুন আবার কিছু ক্ষেত্রে ৫ গুণ পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে শহর ছাড়ছে মানুষ। তেমনই কয়েক গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে রিকশা কিংবা পায়ে হেঁটে আমিনবাজার সেতু পার হয়ে ঘরমুখো যাত্রীরা চলে আসছে বিভিন্ন স্থানে। তারপর মাইক্রোবাস এমনকি অ্যাম্বুলেন্সযোগে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।
এদিকে মানুষকে সচেতন করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েও কার্যকর কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ চেকপোস্ট এড়াতে অসংখ্য মানুষ মানিকগঞ্জ হয়ে আরিচা ঘাট ও পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাতে হেমায়েতপুর হয়ে সিংগাইরের পথ ধরছেন।
পুলিশ চেকপোস্টের অংশটুকু পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে ফের বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রামের পথ ধরেছেন মানুষ। যাতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পড়েছে নারী ও শিশুরা।
সাভারের ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রামের পথে ছুটে চলা মানুষ কোনো বাধাকেই তোয়াক্কা করছে না। তারা স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। মানুষকে সচেতন করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েও কার্যকর ফল মিলছে না।’