সোমবার লকডাউনের ঘোষণার পরেই সারা দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানে বাড়তি পণ্যের জন্য ক্রেতারা ভিড় করতে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা নিচ্ছেন মুদি ব্যবসায়ীরা। জাগো নিউজের বরাত দিয়ে জানা যায়, বরিশালে লকডাউনের ঘোষণায় একদিকে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে রোববার দিনভর বাজারে ছুটেছে। আর এই সুযোগে এক দিনের ব্যবধানে বেড়ে গেছে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম। কেজি প্রতি ৪ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম।
শনিবার লকডাউনের ঘোষণার পর নগরীর বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। রোববার সকালেও বাজারে ভিড় ছিল। কিন্তু দুপুরের পর বাজারে মানুষের ভিড় কয়েকগুন বেড়ে যায়।
রোববার সন্ধ্যায় নগরীর বাজার রোডের পুরান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুদিদোকানের সামনে মানুষের ভিড়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে ব্যস্ত ছিলেন দোকানিরাও। বেশির ভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রুসুন কিনছিলেন।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার থেকে লকডাউন। লকডাউনের মধ্যে বের হলে নানা হয়রানির মধ্যে পড়তে হতে পারে। তাছাড়া সামনের সপ্তাহে রোজা। রোজা রেখে অফিস করে থলে হাতে বাজারে পা রাখা কিছুটা কষ্টের। আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে বারবার যাতে বাজারে না আসতে হয়, তাই যতটুকু সম্ভব বাজার করছেন তারা।
হেমায়েত উদ্দিন নামে এক ক্রেতা জানান, গতবার করোনার কারণে সাধারণ ছুটির মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। এবার দাম বাড়ার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে আসা। কিন্তু দেরি করে ফেলেছেন। প্রায় সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা আজ বেশি ক্রেতা দেখে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
নগরীর পুরান বাজারের খুচরা মুদি দোকানি নিউ আজাদ স্টোরের মালিক সৈয়দ আজাদ আহম্মেদ বলেন, নগরীর পোর্ট রোড ও বাজাররোডের বিভিন্ন পাইকারি আড়তে একদিনের ব্যবধানে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম পাইকারি আড়তে বেড়েছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, শনিবার খুচরা বাজারে রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। আজ সকালে একই রসুন পাইকারি আড়তে কিনতে গিয়ে কেজি পড়েছে ১৩০ টাকা। খুচরা বাজারে আজ রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। একইভাবে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি আড়তে আলু, পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে। আলু ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা ও আদা ৭০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সৈয়দ আজাদ আহম্মেদ বলেন, পাইকারি আড়ৎদাররা দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরবরাহ কমে যাওয়ার কথা বলেছেন। তবে তাদের এ অজুহাত বুঝে আসে না। কারণ দু’দিন আগে তারাই বলেছিলেন নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই। পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে।
সূত্রঃ জাগো নিউজ