ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
একক গ্রাহক বা গ্রুপকে কোনও ব্যাংক ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারবে না। এতদিন ১৫ শতাংশ ফান্ডেডসহ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল। এছাড়া সব মিলিয়ে ব্যাংকের বড় ঋণ হবে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৪০০ শতাংশ।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, একটি ব্যাংক একক গ্রাহক বা গ্রুপকে মূলধনের ১০ শতাংশ ঋণ দিলে তা বড় ঋণ বা লার্জ লোন হিসেবে বিবেচিত হয়। এতদিন শুধু একক গ্রাহকের ঋণ সীমার বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও সব মিলিয়ে কী পরিমাণ বড় ঋণ দিতে পারবে তা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। এতে করে এক ব্যাংক একাধিক গ্রাহককে বড় ঋণ দিতে পারতো। তবে এখন থেকে মোট মূলধনের ৪০০ শতাংশের বেশি দিতে পারবে না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, একক গ্রাহককে একটি ব্যাংক থেকে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে। তবে সাধারণভাবে কোনও অবস্থাতেই ফান্ডেড ঋণের পরিমাণ ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ২৫ শতাংশের পুরোটাই ফান্ডেড দেওয়া যাবে।
একক গ্রাহকের ঋণ সীমা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ ২০১৪ সালে সার্কুলার জারি করে। নীতিমালায় কিছু পরির্তনসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। আগের মতোই একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের সঙ্গে বড় ঋণের মোট সীমা দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও কিছুটা কড়াকড়ি আনা হয়েছে। এতদিন খেলাপি ঋণের পাঁচটি ধাপ বিবেচনায় বড় ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল। এখন ছয়টি ধাপ করা হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশ বা তার কম থাকলে ওই ব্যাংক মোট ঋণের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারবে। আগে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ থাকলে মোট ঋণের ৫৬ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারতো। এখন ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের ব্যাংক মোট ঋণের ৪৬ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে।
কোনও ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ থেকে ১০ শতাংশ হলে ওই ব্যাংক মোট ঋণের সর্বোচ্চ ৪২ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। এতদিন এ ধরনের ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল।
এখন থেকে যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ওই ব্যাংক সব মিলিয়ে ৩৮ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। আগে দিতে পারতো ৪৮ শতাংশ। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ খেলাপি ঋণের ব্যাংক ৩৪ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। এতোদিন এ রকম খেলাপি ঋণের একটি ব্যাংক মোট ঋণের ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারতো। খেলাপি ঋণের হার ২০ শতাংশের বেশি হলে এখন থেকে সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ বড় ঋণ দেওয়া যাবে। এতদিন এ ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দেওয়া যেতো।