ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বিশ্বের আন্যান্য দেশের আদলে বাংলাদেশেও মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য গঠিত হচ্ছে আলাদা বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট। যারা ঢাকা ও এর আশপাশের মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে এটিএম বুথ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও দোকান থাকবে। প্রতি মুহূর্তে যাতায়াত করবে কয়েক হাজার যাত্রী। এজন্য প্রত্যেকটি স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকায় অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে পাঁচটি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ডিএমটিসিএলের মাধ্যমে কার্যক্রম চলছে। এর আওতায় মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা রয়েছে। ডিএমটিসিএলের এ যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল ও ৫৩টি পাতাল স্টেশনসহ মোট ১০৪টি স্টেশন তৈরি হবে। বিশাল এ স্থাপনা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে দিতে এ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠন করা হচ্ছে।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, এমআরটি পুলিশের জন্য একজন উপ-মহাপরিদর্শক, একজন অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, তিনজন পুলিশ সুপার, চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, তিনজন সহকারী পুলিশ সুপার, ১৪ জন পরিদর্শক, ২১ জন উপ-পরিদর্শক, একজন সার্জেন্ট, ৭৪ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক, ২৫ জন নায়েক, ৬৩৯ জন কনস্টেবলসহ ৮০৯ জন জনবলের একটি সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ সাংগঠনিক কাঠামো গঠনে প্রস্তাবনা তৈরির দায়িত্বে আছেন পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) এসএম মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট বাস্তবায়নে প্রস্তাবনাটি রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আশা করছি, চলতি মাসেই এটি অনুমোদন হবে। অনুমোদনের পরই দ্রুত মেট্রোরেল পুলিশের কাজ শুরু হবে। এ ইউনিটের সদস্যদের জন্য থাকবে আলাদা ইউনিফর্ম। তবে ইউনিফর্মটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে প্রস্তাবনাটি বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে এটি চালু হবে। মেট্রোরেল চালুর আগেই মেট্রোরেল পুলিশ চালু হয়ে যাবে।