সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ফের করোনার সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শঙ্কায় পড়েছে পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।এক বছর ধরে বন্ধ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তৈরি হয়েছে শঙ্কা। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন,করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাতে পারে। তবে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষা বন্ধের সুপারিশ এসেছে।ফলে নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষাগুলোও যথাসময়ে নেওয়া সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে তৈরী হয়েছে শঙ্কা। সম্প্রতি এ বছর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে আবেদন করেছেন এমন একদল শিক্ষার্থী বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
Dhaka Today সূত্র মতে, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব বলেন, পরীক্ষা যথাসময়ে নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। পরীক্ষার্থীরা এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা দেবে। তিনি আরও জানান, রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য তাদের দিন রাত কষ্ট করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা পেছানোর কোনো চিন্তা নেই বলেও জানান তিনি।
সরকার এবার প্রথমবারের মতো বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। দেশে বর্তমানে এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় ৪৭টি। এছাড়া আছে ৯৬টি চালু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১০৫টি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। প্রায় অর্ধশত ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট (সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে) আছে। একই প্রক্রিয়ায় ভর্তি করছে দেশের ডেন্টাল কলেজগুলো। পাবলিক ৪৭টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও অনার্স প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছে ৩৯টি। এর মধ্যে এবার গুচ্ছবদ্ধ হয়ে ভর্তি করছে ৩০টি।
প্রসঙ্গত, গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭২ হাজারেরও বেশি। তবে এ বছর এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪টি আবেদনের হিসেবে আসন প্রতি লড়বেন ২৮ জনের বেশি।