খুলনার কয়রা উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের মেয়াদোত্তীর্ণ ত্রাণের খাবার খেয়ে শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কয়রার ১২টি স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এখনো পানিবন্দি রয়েছেন ৩৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রসহ উঁচু বেড়িবাঁধে রয়েছেন ২ হাজারের বেশি মানুষ।
ঘরের মধ্যে ইট দিয়ে চুলা তৈরি করে রান্না করছেন তারা। একবেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। কাজ না থাকায় এলাকার মানুষের আয়ের পথও বন্ধ। অন্য এলাকায় যে কাজে যাবেন, তারও উপায় নেই জানিয়েছেন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
ইয়াসে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার পর আমাদের খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ৩-৪ দিন পর এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বররা যে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন তা খেয়ে আমাদের শিশুসহ বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে দেখি খাবার মেয়াদোত্তীর্ণ। আর চিড়া খাওয়ার অনুপযুক্ত হওয়ায় ফেলে দিয়েছি জানান, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী এলাকার অনিশ মাহত ।