ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই বছর পর ফের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আন্তঃদেশিয় যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’।
রোববার কলকাতা স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি খুলনার পথে রওনা দিয়েছে।
এদিন মৈত্রী এক্সপ্রেসও ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে।
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে নয় জন বাংলাদেশি এবং ২০ জন ভারতীয়সহ মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা স্টেশন থেকে ১০ বগীর বন্ধন এক্সপ্রেস ছাড়ে। ইমিগ্রেশন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ডগ স্কোয়াড বিএসএফ, আরপিএফ এবং সিআরপিএফ দাঁড়া ঘিরে ফেলা হয় কলকাতা স্টেশন।
ট্রেন ছাড়ার ১ ঘণ্টা আগে ইমিগ্রেশনের যাত্রীরা আসা শুরু করেন। এরপর প্রত্যেকের টিকিট এবং পাসপোর্ট চেক করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে যাত্রীরা নিজ নিজ আসনে বসেন। নির্দিষ্ট সময় কলকাতা থেকে ছাড়ে বন্ধন এক্সপ্রেস।
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার পাবলিক রিলেশন অফিসার হরিনারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে মৈত্রীর বন্ধন সেটা আরও দৃঢ় হোক। এর পাশাপাশি আমরা চাই বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত, যোগাযোগ এবং ব্যবসার বৃদ্ধি পাক। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে এটাই আমাদের কাম্য। আজ যারা গেলেন তারা যেন ভালো ভাবে যেতে পারেন এটাই আমরা চাই এবং ট্রেনের সুবিধা ভোগ করুক।
খুলনাগামী এক যাত্রী বলেন, এসেছিলাম বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে। দুই জায়গার ইমিগ্রেশন অবস্থা খুব খারাপ। বিশেষ করে পেট্রাপোলে এসে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৭০ বছর বয়স্ক স্ত্রীকে নিয়ে বুঝতেই পারছেন কতটা কষ্ট হয়েছে। যে কারণে ফিরছি ট্রেনে। কলকাতা স্টেশনের ইমিগ্রেশন, নিরাপত্তা এবং সহযোগিতা আমাদের খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাই দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষকে।
জানা যায়, কলকাতা স্টেশন থেকে বন্ধন চলবে সপ্তাহে দুই দিন (বৃহস্পতিবার ও রোববার)। পাঁচ দিন চলবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। অর্থাৎ এদিন থেকে সপ্তাহে সাত দিন কলকাতা স্টেশন থেকে ভারত-বাংলাদেশ রেল চলাচল করবে। টিকিট পাওয়া যাবে কলকাতা স্টেশন এবং কলকাতার ফেয়ারলি প্লেস এর ফরেন কাউন্টার থেকে।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করে। বন্ধন চলে খুলনা-কলকাতা পথে। আর মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে নিউজলপাইগুড়ির পথে চলাচল করবে। ০১ জুন চালু হবে মিতালী এক্সপ্রেস।