খণ্ড খণ্ড চাষাবাদের চেয়ে যৌথ চাষাবাদে (কালেকটিভ কালটিভেশন) অর্ধেক খরচের পাশাপাশি লাভও বেশি। তাই সারাদেশে কালেকটিভ কালটিভেশন ব্যবস্থা শুরুর কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লি উন্নয়ন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খণ্ড খণ্ড চাষাবাদের চেয়ে কালেকটিভ কালটিভেশনে খরচ অর্ধেক, লাভও বেশি। বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন মিলে আমরা একটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বানাবো, কো-অপারেটিভের মতো। এই ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদে অনেক লাভ।
তিনি বলেন, সব সংসদ সদস্য প্রত্যেক এলাকায় যদি অন্তত একটা ১০০ একর জায়গা নিয়ে কালেকটিভ কালটিভেশনের ব্যবস্থা করেন তাহলে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এই কালেকটিভ কালটিভেশন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিও গড়ে তুলতে পারি। চাষ করে প্রাপ্ত ফসলের ব্যবস্থাপনায় প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে। সারা পৃথিবীতে ফুড প্রসেসিং বিজসেন অন্তত লাভজনক। আমরা যেহেতু গ্রামকে শহর বানাবো তাই গ্রামে ইনকাম জেনারেট করতে হবে। মানুষের শহরে আসা বন্ধ করতে গ্রামেই সেই ফ্যাসিলিটি দিতে হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত বাংলাদেশ। দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে, এখন সব বাড়িতে বিদ্যুৎ, সব বাড়িতে গাড়ি যায়। সরকারের বিরুদ্ধে বলার বা সমালোচনা করার কিছু নেই। আমাদের নেতাদের হয়তো ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, পুরো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তবে যতটা হয়েছে, বাংলাদেশের ২০০ বছরের ইতিহাসে তা হয়নি।
তিনি বলেন, এমন সময় একটি গোষ্ঠী মনে করছে, মানুষকে বলে তো আর আন্দোলন করানো যায় না, সবার পেটে ভাত আছে। এখন তাদের কষ্ট শুধু ওনারা ক্ষমতায় নেই। এজন্য উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে তারা পুরনো বুদ্ধি বের করেছে, পাকিস্তান আমলের মতো। মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখলেন, কোরআনকে অবমাননা করার মধ্য দিয়ে মন্দির ভাঙার সুযোগটা নিলেন। যারা কোরআনকে অবমাননা করে তারাই মন্দির ভাঙে, এটা না বোঝার কিছু নেই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।