করোনার মধ্যে বিশাল বহর নিয়ে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান জোরদার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জানান দিয়ে এমন অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে গোপন তদারকির পক্ষে ক্রেতারা।
সময় নিউজের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে দেখা যায় হ্যান্ড হ্যান্ড মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।পাইকারি চালের বাজারে কারো মূল্য তালিকা নেই, আবার কারো নেই মোকাম কিংবা মিলের ভাউচার। তাই স্বাভাবিকভাবেই গুণতে হচ্ছে জরিমানা। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে বাড়েনি কোনো পণ্যের দাম।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘কোনো মালে কৃত্রিম সংকট নাই। মালের রেট ঊর্ধ্বগতি নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু চালের দাম একটু উনিশ-বিশ জরিমানা করে।’এদিকে ভিন্নমত ক্রেতাদের। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজি ধরতে বিশাল বহর আর গণমাধ্যমের ক্যামেরা নিয়ে নয়, অভিযান চালানো উচিত গোপনে।তবে, জরিমানা নয় আসল উদ্দেশ্য সচেতনতা বাড়ানো, বলছে অধিদপ্তর। প্রকাশ্য অভিযানের পাশাপাশি রাজধানীর ৭০টি বাজারে গোপনেও অভিযান চলছে বলেও দাবি তাদের।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বাজারের যেন পণ্যের স্থিতিশীলতা ঠিক থাকে এবং ভোক্তারা যেন পণ্যের ন্যায্য মূল্যটা পান। এটাই এখন আমাদের মুখ্য বিষয়।’চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার বার অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর। পুরো রমজান মাসজুড়ে রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারগুলোতে নজরদারি করবে ১২টি টিম।