রমজানে বেড়েছে ৯ টি নিত্যপণ্যের দাম: টিসিবি

অনলাইন ডেস্ক: রমজান মাস এলেই দাম বাড়ে পণ্যের, তার উপর এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এই পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রোজা শুরুর আগে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) এসব পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবেদন তৈরি করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবেদনে চিনি, রসুন, পেঁয়াজ, আদা, মসুর ডাল, মুরগি, শুকনা মরিচ, পাম অয়েল এবং ছোলার দাম বাড়তি হিসেবে উঠে আসে।

টিসিবির প্রতিবেদন বলছে, রোজার আগে গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে মুরগির। এই পণ্যটির দাম এক সপ্তাহে প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। শতকরা হিসাবে সব থেকে কম দাম বেড়েছে আদার। এই পণ্যটির দাম বেড়েছে দুই শতাংশের কিছু বেশি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। দেশি রসুনের দাম রোজার আগে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পেঁয়াজের দাম ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।বর্তমানে দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা। আর পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

রোজা উপলক্ষে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে বড় দানার মসুর ডালের। এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পণ্যটির দাম এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এর সঙ্গে বেড়েছে মাঝারি দানার মসুর ডালের দামও। ৮০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকা হয়েছে।

রোজাকে কেন্দ্র করে সব থেকে বেশি বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে দেশি মুরগির দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এর সঙ্গে বেড়েছে বয়লার মুরগির দাম। বয়লার মুরগির কেজি সপ্তাহের ব্যবধানে ১১ দমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা হয়েছে।

টিসিবি বলছে, দাম বাড়ার এই তালিকায় শামিল হয়েছে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের শুকনা মরিচ। দেশি শুকনা মরিচের কেজি ২২ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হয়েছে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। আর আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রোজার অনেকটাই অপরিহার্য আরেক পণ্য ছোলার দাম টিসিবির হিসাবে বেড়েছে ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। এক সপ্তাহে আগে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ছোলার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড় ৮৫ টাকা হয়েছে।

পাম অয়েল (লুজ) ও পাম অয়েলের (সুপার) দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে বলে টিসিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। লুজ পাম অয়েলের দাম বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা ছিল। আর সুপার পাম অয়েলের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।