ঈদের পর কিছুটা বাড়লেও রসুনের দাম আবারও কমতে শুরু করেছে। মণপ্রতি ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা না থাকাই এর কারণ বলছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে রসুনের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে নাটোরে রসুন উত্তোলন শুরু হলে কমতে থাকে এর দাম। ওই সময় প্রতি মণ ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। ঈদের পর বেড়ে তা এক হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা হয়। কিন্তু রোববার (২৩ মে) সকাল থেকে আবারো দাম কমেছে প্রতি মণে ৩০০ টাকার মতো।প্রতি বিঘায় রসুন উৎপাদনে খরচ পড়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে এবার উৎপাদন হয়েছে কম। পাশাপাশি দাম পড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। এতে হতাশায় পড়েছেন তারা।
জেলার বিভিন্ন হাট ও বাজারে রসুনের সরবরাহ প্রচুর। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দেশি রসুনের চাহিদা কম থাকায় দাম কমে গেছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিনির্ভর এ রসুনের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, তাদের উৎপাদিত দ্রব্যের ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারি তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে এ জাতীয় ফসলের ঘাটতি দেখা দেবে না।চলতি বছর নাটোর জেলায় ২৫ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ১৮ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন রসুন উৎপাদন হয়েছে। এতে দেশের মোট চাহিদার মাত্র ২৯ ভাগ পূরণ হবে।