ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবারঃ মফিদুল হাসান নামে এক যাত্রী গত ২৩ মে, শেয়ার রাইডিং সার্ভিসের মাধ্যমে একটি রাইড নিয়েছিলেন। মোটরবাইকে ওঠার মুহূর্তে তাঁর সেলফোনে খরচ হিসেবে ৬৮ টাকা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর পর চালক তাঁর কাছে ১০৫ টাকা দাবী করেন এবং চালকের মোবাইল অ্যাপে ১০৫ টাকাই দেখানো হচ্ছিল। তিনি বাধ্য হয়ে ১০৫ টাকা পরিশোধ করেন। এর চারদিন পর গত ২৭ মে পুনরায় একটি রাইড গ্রহণ করেন পাঠাও এর মাধ্যমে, যেখানে বিকাশে অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হন তিনি। এমনকি নগদে পরিশোধ করলে ৩০ টাকা ছাড় পাবার কথা সত্ত্বেও তিনি সেই ছাড় পাননি। এটি সম্পূর্ণভাবে পাঠাও সার্ভিসের যান্ত্রিক গোলযোগের ফল, এর দায় কোনভাবেই ভোক্তার ওপর বর্তায় না।
পরবর্তীতে বাড়তি ৪০ টাকা আদায়ের বিষয়টিকে প্রতারণার শামিল হিসেবে গন্য করে তিনি ‘পাঠাও কর্তৃপক্ষ’কে অভিযোগ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাঠাও কর্তৃপক্ষের সাথে দীর্ঘ কথোপোকথন কোন সমাধান দিতে পারেনি। এমনকি তাঁর অভিযোগগুলো পাঠাও অ্যাপস থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এমতাবস্থায় তাঁর সময় ও আর্থিক ক্ষতির কোন সুরাহা না পেয়ে, ভুক্তভোগী মফিদুল হাসান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর পরিচালিত কলসেন্টারের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন। কলসেন্টারের ব্যবস্থাপক অরুনিমা ইসলাম, ‘ভোক্তাকণ্ঠ’কে জানিয়েছেন তাঁরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং দাখিলকৃত প্রমানসহ অভিযোগনামাটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মাঝে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে।
একইসাথে তিনি ভোক্তাদের সচেতন হবার সাথে সাথে ভোক্তাদের যে কোন আর্থিক ক্ষতি বা প্রতারণার অভিযোগ ইমেইল বা ফোনের মাধ্যমে জানাতে অনুরোধ করেছেন। ই মেইল – [email protected], ক্যাব-এর ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি কলসেন্টার ফোন : ০১৯৭৭০০৮০৭১, ০১৯৭৭০০৮০৭২