ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: রাজধানীর জুরাইন বালুরমাঠ বাজার, ধলপুর বাজার, মানিকনগর বাজার, কাওরানবাজার, আগারগাঁও বাজার, তালতলা বাজার, কাজীপাড়া বাজার, শেওড়াপাড়া বাজার, মিরপুর ১ নং শাহআলী বাজার, কল্যাণপুর বাজার, রামপুরা বাজার, গুলশান ১ কাঁচাবাজার, গুলশান ২ কাঁচাবাজার ও বনানী কাঁচাবাজার এলাকায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা মহোদয়ের নির্দেশনায় ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এর পরিচালনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের ৩ টি টিম ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রলায়ের ৩ টি মনিটরিং টিম মহানগরীর ১৪ টি বাজারসহ শিশুখাদ্য, সার্জিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর খুচরা প্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময়ে বিক্রয় মূল্যে কারসাজি, পণ্যের ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, পণ্যের মোড়কে মূল্য না উল্লেখ করা, মুল্যতালিকা প্রদর্শণ না করা ও নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উক্ত অভিযানসমূহে নেতৃত্ব প্রদান করেন উপ পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমে তদারকি করেন সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুল জব্বার মন্ডল, জনাব মাগফুর রাহমান ও জনাব প্রণব কুমার প্রামাণিক।
একইসাথে এই ক্রান্তিকালীন সময়ে মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনামত ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি’র ব্যক্তিগত তরফ থেকে প্রদত্ত ত্রিশ হাজার মাস্ক এর মধ্যে আরও ৭ হাজার মাস্ক শ্রমজীবী, মেহনতি, নিম্নবিত্ত, বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অভিযান শেষে অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ভোক্তারা যাতে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে মজুদ না করেন সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
আরো বলা হয়, কোন একক ব্যক্তির নিকট অতিরিক্ত পরিমাণে কোন পণ্য বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করা হয় এবং জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আজকের অভিযানের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরি অপমান, সংকটের কল্পনাতে হোয়োনা ম্রীয়মান, মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।”