ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড জরিমানা করা হয়।
আজ রাজধানীসহ কুমিল্লা ও পাবনা জেলায় এই তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহার সার্বিক নির্দেশনায় এই অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা মহানগরের বনানী এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালীন সময়ে কয়েকটি ফার্মেসীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা আদায় করে। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান ও জনাব মাহমুদা আক্তার এই অভিযানটি পরিচালনা করেন।
এছাড়া কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ভোক্তা-অধিকার আইনে হালিম হোটেলকে ৮ হাজার, হৃদয় কনফেকশনারীকে ৫ হাজার, আম্মাজান হোটেলকে ১০ হাজার, আই কেয়ার ফার্মেসীকে ৪ হাজার ও সাবিয়া ফার্মেসীকে ৩ হাজার টাকা করে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ১০ কেজি বাসি খাবার, ৬ কেজি পঁচা মাংস ধ্বংস করা হয় এবং ১০ প্যাকেট মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুট, ৩০ প্যাকেট মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অপরদিকে পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় আরো একটি অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ভোক্তা-অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ধারা অমান্য করার অপরাধে মেসার্স বিশ্বাস মটর পার্টস ষ্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স ফ্যামিলি মার্ট সুপার শপকে ৮ হাজার টাকা এবং পাপা রোমা সুপারশপকে ১০ হাজার টাকা করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।