কৃষিপণ্য আমদানি-রফতানির সনদ এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। এজন্য অটোমেশন সুবিধা করা হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের কার্যক্রম । অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু হলে কৃষিপণ্য আমদানি-রফতানিতে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রনালয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাগো নিউজ থেকে জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে এ অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই অটোমেশনের ফলে সেবা গ্রহীতারা দ্রুত এবং সহজে সেবা পাবেন। সনদ গ্রহণে ভোগান্তি কমবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, সেটি ছিল অত্যন্ত দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আইসিটির সুযোগ-সুবিধা আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এর ফলে প্রশাসনিক কাজকর্ম অনেক বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন, স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে।
‘পরোক্ষভাবেও বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দিচ্ছে। মানুষকে আগের মতো এখন আর দীর্ঘ সময় কোনো নির্দিষ্ট পরিষেবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না’ যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ৩০টি বিভাগে প্রায় ৪ হাজার আমদানিকারক এবং রফতানিকারক রয়েছেন। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পণ্য আমদানি-রফতানির সঙ্গে জড়িত। এই আটোমেশন প্রক্রিয়ার পর আর কোনো ধরণের সনদ দেয়ার কার্যক্রম ম্যানুয়ালি চলবে না। অটোমেশনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিটি ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি লিমিটেড।
অটোমেশন প্রক্রিয়ার অধীনে রয়েছে পণ্যের জন্য ইম্পোর্ট পারমিট সার্টিফিকেট, ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট, রিলিজ অর্ডার সার্টিফিকেট, অ্যানকোরেজ সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সব কার্যক্রম। সব সার্টিফিকেটের কাজ আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সম্পাদিত হত। যা ছিল গ্রাহকদের জন্য যথেষ্ট ভোগান্তিকর এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু এই অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহক অনলাইনেই এসব সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহও করতে পারবেন বলে অনুষ্ঠানের জানানো হয়। এছাড়াও এই অটোমেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ট্রেজারি ফিস জমা দেয়ার সুব্যবস্থা। ফলে গ্রাহকরা যেকোনো স্থান থেকে সহজেই লেনদেন করতে পারবেন।
আরও জানানো হয়, সুরক্ষিত ডাটাবেজ এসব সার্টিফিকেটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা দেবে। এছাড়াও সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে সত্যতা যাচাই বা ভেরিফিকেশনেরও সুযোগ রয়েছে। গ্রাহকের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে থাকছে কলসেন্টার সেবা। গ্রাহকের যে কোনো ধরণের জিজ্ঞাসার উত্তর মিলবে এই কলসেন্টারে।