যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট কোভিড-১৯ বাধা কাটিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে বলে তারা আশা করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের কর্মকর্তারা।
বাসস তাদের খবরে জানিয়েছে, দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিবদ্বয়ের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের একদিন পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এ সময়ের ভেতর ইউনিটটি চালু করতে পারব বলে আমরা আস্থাবান।’
তিনি বলেন, প্রথম ইউনিটটি ৬০৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ অলোক কুমারের সাথে একটি অনলাইন বৈঠক করার একদিন পর এ মন্তব্য এলো। এ ক্রস-কান্ট্রি সম্মেলনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো যোগ দেয়।
পরে ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, উভয় কর্মকর্তা পরিবেশ রক্ষায় প্রযুক্তি ও সক্ষমতার দিক থেকে আল্ট্রা-সুপার হিসাবে পরিচিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যথাসময়ে চালু করার উদ্দেশ্যে ‘কিছু জটিল সমস্যা’ চিহ্নিত ও এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারত বিশেষজ্ঞরা ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইল) ও বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) মধ্যে একটি বিদ্যুৎ অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রকল্পটি যথাসময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি।’
ভারতীয় পক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পর্কিত সঞ্চালন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সাথে মিল রেখে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ‘২০২০ সালের মার্চ থেকে কোভিড পরিস্থিতি মৈত্রী প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রভাবিত করার পাশাপাশি উভয় দেশের জনগণকে একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। এখন উভয় পক্ষই প্রকল্পটি সময় মতো সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।’