বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার নতুন মজুদের পরিমান ৪ হাজার ৪০২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার (যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা)। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। এই রিজার্ভ দিয়ে দেশের কমপক্ষে ৮ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব।
রিজার্ভের বেশ কয়েকটি উৎসের মধ্যে করোনা পরবর্তী সময় থেকেই বড় ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়। প্রবাসী আয় বাড়াতে গত ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দিতে শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই প্রবাসী আয়ে গতি আসে। বিশেষ করে করোনা অতিমারীর পরে প্রবাসী আয়ে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তবে সামনের দিনে এই গতি থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
দৈনিক প্রথম আলো সুত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা অতিমারীর মধ্যে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ অনেক বেড়েছে। একইভাবে গত বছরের এপ্রিল ও মে মাস ছাড়া বাকি সময়ে পণ্য রপ্তানিতেও ভালো আয় হয়েছে। আমদানি ব্যয় অবশ্য বেশ কমেছে। এ কারণে রিজার্ভে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। তবে আমদানি বেড়ে গেলে রিজার্ভ আবার কমতে পারে।
করোনা অতিমারীর মধ্যে গত ১লা সেপ্টেম্বর রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। ৮ অক্টোবর তা আরও বেড়ে ৪ হাজার কোটি ডলারে ওঠে, যা গতকাল ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। সংকটে পড়লে এই রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে এবং আমদানি দায় মেটাতেও তেমন সমস্যায় পড়তে হবে না বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
মূলত, ২০১৪ সাল থেকেই দেশে রিজার্ভের পরিমাণ বেশি বাড়ছে। ওই বছরের ১০ এপ্রিল রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তা ২ হাজার ৫০০ কোটি অতিক্রম করে এবং ২০১৬ সালের জুনে রিজার্ভ বেড়ে হয় ৩ হাজার কোটি ডলার।
এ.আই.এ/