ঢাকা, ১৫ জুন শনিবারঃ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ভেজালবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সদ্য গত রোজার মাসে ৩ হাজার ১২৭ প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
বিভিন্ন অভিযোগ নিষ্পত্তি ও অভিযানে দেশব্যাপী ৯০ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৫ টাকা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট ২ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ১২৫ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। এবার রোজায় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারি খুচরা বাজার, আড়ত ও বিভিন্ন শপিংমলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে এমন অভিযোগে জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানিয়েছেন, ‘জরিমানা করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা অধিদফতরের পক্ষ থেকে কাউন্সিল করেছি, যেন আগামীতে তারা এ ধরনের কোনো অপরাধ না করে। প্রতিটি ব্যবসায়ী আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ তারা করবে না ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য মাসের মতো রমজানে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।’ তবে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা মূল উদ্দেশ্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঈদ পরবর্তী সময়ে যেন ভেজাল বিরোধী অভিযান সহ ভোক্তা অধিকার সম্পর্কিত কার্যক্রম একইরকম গতিশীল থাকে সেই প্রত্যাশা জানিয়ে অনেকেই ‘ভোক্তাকণ্ঠে’ তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা শামসুন্নাহার দিলশাদ ফোনে জানিয়েছেন, ‘অভিযান শুধু রোজার মাসে চালু রেখে কোনভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবেনা। বছরব্যাপী অভিযানে নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব’ বলেন তিনি।