নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য মিয়ানমারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা নিরাপদে ও সইচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাবে এটাই ইইউ আশা করে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডিক্যাব টকে এসব কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইইউ কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি ১২ বছর আগে বাংলাদেশে এসেছিলাম। তখন থেকে এখন বর্তমানে অবকাঠামো দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।
মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজের সঙ্গে ইইউ সম্পর্ক রেখে চলছে। আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার নিয়ে যে রিপোর্টগুলো হয় সেগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই।
রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটিতে মানবাধিকার কাজগুলো ইইউ করে যাচ্ছে। মিয়ানমারে আমরা যদি কাজ না করি তবে অন্য কেউ এসে সে জায়গা দখল করবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের সঙ্গে এনিয়ে ইইউ খোলামেলা কথা বলে যাচ্ছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কোনো ইভেন্ট নয়। এটি একটি প্রসেস। জাতীয় নির্বাচন হতে এখনও দুটি বছর আছে। বাংলাদেশ ভোট দেওয়ার চর্চা অব্যাহত রাখবে। ইইউ বাংলাদেশের ভোট ও নির্বাচনের ওপর পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক আক্রমণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউ এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, সংখ্যালঘু জনগণকে অবশ্যই নিরাপত্তা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন বক্তব্য রাখেন।