ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমরা এই বাস্তুচ্যুত (রোহিঙ্গা) জনগণকে মিয়ানমারে তাদের পৈত্রিক বাড়িতে দ্রুত স্বেচ্ছায়, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের সমর্থন চাই।
বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংকট সমাধানে উভয় দেশই অভিন্ন মত পোষণ করে। বিশ্ব শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও জাপান বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে উভয়েই সবসময় একে অপরকে সমর্থন করে কাজ করেছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় জাপানি দূতাবাস যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাই বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি। এটি একটি অবিচল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে তার বাবার উত্তরাধিকার বহনের পাশাপাশি জাপানে এসব সফর ছিল তার জন্য একটি সম্মানের বিষয়।
বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে একসঙ্গে তিনি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।