তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিতি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজের ফলন যেমন ভালো, বাজার দামও বেশি। তাই রাঙা তরমুজে হাঁসি ফুটেছে চাষিদের।
তবে ক্ষেতের ভাল ফলন দেখে মুখে হাঁসি ফুটলেও বিলম্বে আবাদ করা চাষিদের সেই হাঁসি এখন দিন দিন মলিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বুধবার থেকে আটদিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তারা বলছেন, এখনও ক্ষেতে প্রচুর তরমুজ। কঠোর লকডাউনে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই চাষিদের দাবি, এই ক্ষতি ঠেকাতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাদের কাছ থেকে তরমুজ ক্রয় করা হোক।
দৈনিক ইত্তেফাক এর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, কাউখালী গ্রামে তরমুজ কিনতে আসা পাইকার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাক আগে যেটা ২৫ হাজর টাকায় ভাড়া করতাম। লকডাউনের কারণে এখন সেটা ৪০-৪৫ হাজার। ৪০ হাজার টাকার ট্রলারের ভাড়া ৬০-৭০ হাজার। ক্ষেতে প্রচুর তরমুজ কেনা। লকডাউনের কারণে চাষি এবং আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, রাস্তায় যদি মানুষ না থাকে তাহলে তরমুজ কিনবে কে? আর আমরা বিক্রি বা করবো কেমনে?